আসসলামু আলাইকুম আশা করি সকলেই ভালো আছেন? আজ আলোচনা করবো শেরপুর জেলাই অবস্থিত মায়াবি লেক নিয়ে, আপনি যদি প্রকৃতি প্রেমী হোন তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য । মায়াবী লেকটি এখনো পর্যটন শিল্পের আওতায় নেয়া হয়নি, মালিকানাধীন জমিতে প্রকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশি কিছু ঝামেলা হয়। সকালের দিকে পুলিশ থাকে তাই বাইকের কাগজ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে যাওয়াই ভালো। অবশ্যই পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়ে লেকের ভিতর প্রবেশ করবেন। মায়াবী লেক শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় আবস্থিত। গজনী অবকাশ থেকে কয়েক কিলো দূরেই এটি অবস্থিত। পিচঢালা সড়ক দিয়ে মায়াবী লেকে আসতে আসতে এমনিতেই দু'চোখে ধরা দেবে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য, ধানক্ষেত, পাহাড়ি নদী, দিগন্ত জোড়া মাঠ আর গ্রামীণ পরিবেশ। আরও এগোলে মন কাঁড়বে সড়কের দু'ধারে ঘন বন, ছোট ছোট টিলা। তাওয়াকুচি এলাকায় এসে মেঠোপথে হাঁটতে হবে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা। এরপর দেখা মিলবে আকাঙ্খিত মায়াবী লেকের।
তবে, পাহাড়ে উঠেই মন জুড়াবে এক নিমিষে। লেকের নীল স্বচ্ছ পানিতে দু'চোখ ডুবিয়ে আকাশের দিকে চাওয়ার আগেই দূরে দৃষ্টি যাবে। দেখা যাবে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ের চূড়া। আকাশের মেঘেরা ক্ষণে ক্ষণে পাল্টাবে রঙ আর আকৃতি। পাহাড়ে সারাদিন বসে থাকলেও ফিরে আসতে মন চাইবে না।
কীভাবে যাবেন
শেরপুর শহর থেকে সিএনজি বা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় বালিঝুড়ি বাজারে যেতে হবে। আপডাউন ৫০০ টাকার মতো ভাড়া নেবে। বালিঝুড়ি বাজারের একটু আগে তাওয়াকুচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নেমে মাটির রাস্তা ধরে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার হেঁটে যেতে হবে। তবেই দেখা মিলবে অপরূপ মায়াবী লেকের।
জরুরি কথা
পাহাড়গুলোর কোল জুড়ে বন বিভাগ পরিকল্পিত বনায়ন করছে। এখন গাছের চারাগুলো বেশ ছোট। পর্যটকের ভিড়ে গাছের ক্ষতি সাধন হয় বলে মায়াবী লেকে যেতে বনবিভাগের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও পর্যটকের কমতি নেই লেকে। প্রতিদিন শতশত মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে মায়াবী লেক দেখতে। লেকের আশপাশে সাড়ে তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোনও বাজার বা দোকানপাট নেই। তাই সঙ্গে পানি ও খাবার নিতে ভুল গেলে চলবে না। আর কোনোভাবেই লেকের আশপাশের এলাকায় পানির বোতল বা নোংরা জিনিসপত্র ফেলা যাবে না।,
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন